লক্ষ্য                             : দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় সহযোগিতা করা।
লক্ষিত জনগোষ্ঠী         : সকল নুসা প্রকল্পের সুবিধাভোগী এবং সাধারণ সর্বজনীন।

ভূমিকা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নুসার সেবার একটি নিয়মিত অংশ। যেহেতু শরীয়তপুর জেলা একটি দুর্যোগ প্রবণ এলাকা, নুসার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সারা বছর দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ পর্যন্ত বন্যা, অতিবৃষ্টি, সিডার এবং অন্যান্য দুর্যোগের কারণে হাজার হাজার মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নুসা এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে যথাযথ সহায়তা প্রদান করেছে। ২০০৪, ২০০৭, ২০০৮ এবং ২০১৮-১৯ এর বিপর্যয়কর পদ্মানদী ভাঙন এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী, রাস্তা নির্মাণ, ল্যাট্রিন এবং নলকূপ বিতরণ করা হয়েছে দশ লক্ষ টাকার বেশি।

১৫ মে ২০১৭ খ্রিঃ তারিখে প্রভাত আনুমানিক ৬.৩০ ঘটিকার সময় হঠাৎ প্রলয়ংকারী টর্ণেডো সৃষ্টি হলে শরীয়তপুর জেলার  নড়িয়া উপজেলার অন্তর্গত নওপাড়া ও চরআত্রা ইউনিয়নে খাসবাজার ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা বিশাল ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়, মূহুর্তেই লন্ড-ভন্ড হয়ে যায় প্রায় ২৮টি দোকান ও ৪২ টি থাকার ঘর এবং ঘরের সকল খাবার ও মালামাল। অনেকে আহত হন এবং ৪জন গুরুতর আহত হলে তাদের ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য প্রেরণ করা হয়।শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী আফিসার সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, মেয়র নড়িয়া পৌরসভা এবং নুসা সংস্থার একদল কর্মী ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে সরোজমিনে ভয়াবহতা দেখেন এবং সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। নুসা‘র ৭জন স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা ও ৫জন কর্মী ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষনিক সেবা ও সহযোগিতা করেন এবং পাশাপাশি সঠিক তালিকা তৈরী করেন।পরদিন ১৬ মে ২০১৭ খ্রিঃ তারিখে নুসা‘র পক্ষ থেকে পরিবার ভিত্তিক ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ পরিবারকে ত্রাণ প্যাকেজ (চাল-১৫কেজি,ডাল-২কেজি, সোয়াবিন-১লিঃ, লবণ-১কেজি, সাবান-২টি)  ডাঃ খালেদ শওকত আলীর উপস্থিতে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ ১জন ডাক্তার দিয়ে ঘটনাস্থলে স্যাটেলাইট ক্লিনিক সেবা ও ঔষধ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে নুসা‘র ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ খালেদ শওকত আলী ৪২ পরিবারকে ২ বান্ডেল টিন ও নগদ ২০০০ টাকা করে নুসা‘র পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়।

এবছর অর্থাৎ ২০২০ সালের স্মরণকালের মহামারী করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে নুসা যথাসাধ্য সাহায্য সহযোগিতা করেছে।

করোনাকালে নুসা নিম্নলিখিত কার্যক্রমগুলি সম্পন্ন করেছে:

ক্রমিক বিবরণ পরিমাণ খরচ (টাকা) মন্তব্য
ক্রমিক
০১
বিবরণ
সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ
পরিমাণ
৫০০০
খরচ (টাকা)
৫৬০০
মন্তব্য
ক্রমিক
০২
বিবরণ
হাত ধোয়ার জায়গা রাখুন
পরিমাণ
৫০
খরচ (টাকা)
৫০০০০
মন্তব্য
ক্রমিক
০৩
বিবরণ
সেনিটারী সাবান এবং মাস্ক বিতরণ
পরিমাণ
৮০০
খরচ (টাকা)
২৮০০০
মন্তব্য
ক্রমিক
০৪
বিবরণ
করোনায় সচেতনতামূলক বিবৃতি
পরিমাণ
৪৫০০০
খরচ (টাকা)
০০
মন্তব্য
ক্রমিক
০৫
বিবরণ
শুকনো খাবার বিতরণ (ত্রাণ সামগ্রী)
পরিমাণ
১৩৮৬
খরচ (টাকা)
৮৫৪০০০
মন্তব্য
অনলাইন
ক্রমিক
০৬
বিবরণ
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১ দিনের বেতনের সমপরিমাণ নগদ অর্থ প্রদান
পরিমাণ
২৮২ কর্মী
খরচ (টাকা)
১৪৫০০০
মন্তব্য
ক্রমিক
০৭
বিবরণ
জেলা প্রশাসক এর তহবিলে বৈশাখী ভাতা ২০% দানের
পরিমাণ
২৮২ জন
খরচ (টাকা)
৭০০০০
মন্তব্য
ক্রমিক
০৮
বিবরণ
শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে নগদ চেক বিতরণ
পরিমাণ
খরচ (টাকা)
১০০০০০
মন্তব্য
ক্রমিক
০৯
বিবরণ
মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে নগদ চেক প্রদান
পরিমাণ
খরচ (টাকা)
৫০০০০
মন্তব্য
ক্রমিক
সর্বমোট খরচ
বিবরণ
পরিমাণ
১৩,০২,৬০০
খরচ (টাকা)

অডিট রিপোর্ট:
আর্থিক বছর 2019-20 সালে মেসার্স। হাবিব সারোয়ার ভূঁইয়া ও Co.Nussar বাইরের অডিট সম্পন্ন এবং উপযুক্ত প্রতিবেদন প্রদান করা হয়েছে। একই সময়ে, পিকেএসএফের নিরীক্ষা সম্পূর্ণ হতে দুই নিরীক্ষা দল পাঠিয়েছে। পিকেএসএফ এর নিরীক্ষা আর্থিক বছর 2019-20 সংযুক্ত করা হয়েছে মেসার্স পরিচালনা করেন। রহমান কাশেমের অ্যান্ড কোং দ্য অডিট রিপোর্ট